
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মোঃ ছলিমুদ্দিন (৯০) গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে ময়মনসিংহ জেলা গোয়ান্দা শাখার এসআই(নিঃ) কমল সরকারের নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্স ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানাধীন সোহাগী চরপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এম র বিচারাধীন মামলায় গ্রেফয়ারী ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী মোঃ ছলিমুদ্দিন (৯০), পিতা-মৃত নূর হোসেন, মাতা-মৃত সূর্যের মা, সাং-সোহাগী চরপাড়া, থানা-ঈশ্বরগঞ্জ, জেলা-ময়মনসিংহকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
ICT-BD Form No.03, Warrant of Arrest of Accused In the International Crimes Tribunal-1. Dhaka, ICT-BD (ICT-1) Misc.Case No. 02/2021 মূলে উক্ত আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী বিগত দুই বছরের বেশি যময় যাবৎ ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে অবস্থান করছিল।
অভিযুক্ত ছলিমুদ্দিন এর বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের ১২ অক্টোবর দুপুর অনুমান ১২:০০ ঘটিকায় কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির সদস্য সৈয়দ হোসাইন আহম্মদ (মৃত) এর নির্দেশে রাজাকার মোঃ ছলিমুদ্দিন সহ ১৫/১৬ জন সশস্ত্র রাজাকার ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানাধীন সোহাগী বাজারে হামলা চালিয়ে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মোঃ নূরুল হক ওরফে তারা মিয়ার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং আওয়ামী লীগ সমর্থক নিরীহ হিন্দু ব্যবসায়ী গোপাল চন্দ্র করকে অপহরণ করে পাকিন্তান আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে গুলি করে হত্যার পর লাশ গুম করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও, ১৯৭১ সালের বাংলা কার্তিক মাসের ২৭ তারিখে (১৪/১১/১৯৭১ খ্রিঃ) সকাল অনুমান ১০:০০ ঘটিকায় আওয়ামীলীগ নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মোঃ নূরুল হক ওরফে তারা মিয়া-কে ধরে নিয়ে ময়মনসিংহ বড় মসজিদ রাজাকার ক্যাম্পে আটক রেখে অমানুষিক নির্যাতন এবং ব্রম্মপুত্র নদীর পাড়ে নিয়ে গুলি করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
আজ ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ মানবতাবিরোধী মামলায় গ্রেফতারকৃত এই আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ্দ করা হয়েছে।