ঢাকা,   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪

The South Asian Times | সাউথ এশিয়ান টাইমস
Header Advertisement
চীন জুড়ে চলছে পর্যটন মৌসুম

চীন জুড়ে চলছে পর্যটন মৌসুম

চীন জুড়ে চলছে পর্যটন মৌসুম। পূর্ব চীনের চিয়াংসু প্রদেশের সিংহুয়া সিটির জলাভূমি পার্কে ঘুরছেন পর্যটকরা। কুয়াংসি চুয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের কুইলিন সিটির ইয়াংশুও কাউন্টির নদীতে বাঁশের ভেলায় চলছে নৌভ্রমণ। শানতোং প্রদেশের থেংচৌ সিটির ওয়েইশান লেকের জলাভূমি পার্কে জমেছে পর্যটকের ভিড়। কানসু প্রদেশে তুনহুয়াং সিটির গোবি মরুভূমিতে পর্যটকরা উটের পিঠে চড়ে বেড়াচ্ছেন। চীনে এখন সাংস্কৃতিক পর্যটন বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিভিন্ন প্রদেশ ও অঞ্চলের বিশেষ সংস্কৃতি, খাদ্য ও প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগের জন্য আসছেন পর্যটকরা। চীনের অর্থনীতিতে একটি বড় অবদান রাখছে পর্যটন শিল্প।

সোনালি বানরের সোনালি ভুবন 

সোনালি বানরের সোনালি ভুবন 

নিবিড় অরণ্য। গাছের ডালে পাতার ফাঁকে ফাঁকে সোনালি বানর। শিশুকে কোলে নিয়ে ঘুরছে মা বানর। কোথাও তাদের ভয় নেই। কারণ এটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল। হুবেই প্রদেশের শ্যননংচিয়া ফরেস্ট্রি জেলা। পাহাড়ী অরণভূমি। এখানে গাছে গাছে দোল খায় সোনালি বানরের দল। পরিবেশ সংরক্ষণমূলক কাজের ফলে এই অরণ্যে বাড়ছে সোনালি বানরের সংখ্যা। এই অরণ্যে এক হাজার ৬১৮ টি বানর রয়েছে। ওরা ১১টি দলে বিভক্ত। পাঁচ বছর আগের জরীপে বানরের যে সংখ্যা ছিল এখন তার চেয়ে ১৪৭টি বানর বেশি রয়েছে। এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে বানর বিষয়ে একটি জরীপ হয়েছে। দেখা গেছে, বানরদের বিচরণক্ষেত্র ৪০১ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে রয়েছে। শ্যননংচিয়া ন্যাশনাল পার্ক প্রশাসনের বিজ্ঞান গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক ইয়াং চিংইয়ুয়ান জানান, তারা অনুমান করেছিলেন যে বানরদের সম্ভাবনাময় বিচরণ এলাকা ৩০০ বর্গ কিলোমিটার ছাড়িয়েছে। জরিপে ভুল এবং ডুপ্লিকেশন এড়াতে তারা এলাকাটিকে কয়েকটি গ্রিডে ভাগ করেন। প্রতিটি গ্রিডে সময় নির্ধারণ করেন। এই জরীপে অনেক মানুষ অংশ নিয়েছেন। ২৪০টি সার্ভে রুট অনুসরণ করা হয়। শ্যননংচিয়া সংরক্ষিত বনাঞ্চলে জীববৈচিত্র্যের ফ্ল্যাগশিপ স্পিসিস হলো গোল্ডেন মাংকি। ১৬০০ মিটারের বেশি উচ্চতায় পাহাড়ি বনভূমিতে এরা বাস করে। ফুল, ফল, লতাপাতা ও গাছের বাকল এদের প্রধান খাদ্য। পুরুষ সোনালি বানর আকারে মেয়ে বানরের চেয়ে অনেক বড় হয়। শিশু অবস্থায় গায়ের রং থাকে তামাটে। বড় হয়ে সোনালি রঙ ধারণ করে। চীনা বন একাডেমির, ইন্সটিটিউট অব ফরেস্ট ইকোলজির পরিবেশ ও সুরক্ষা বিষয়ক প্রধান বিজ্ঞানী, লি তিছিয়াং জানান এবারই প্রথম ইনফ্রারেড সেনসিং ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে যেন গণনা সঠিক হয়, এবং প্রতিটি সোনালি বানরকে গণনা করা যায়। ১৯৯০ এর দশকে এই অরণ্যে মাত্র ১৬৪ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে ৫০১টি সোনালি বানর বাস করতো। জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ সুরক্ষামূলক অক্লান্ত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বানরের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ২০০৫ সালে ১৮৯ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ১২৮২টি বানর ছিল। ২০১৯ সালে ৩৫৪ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ১৪৭১টি বানর বাস করতো। আর সাম্প্রতিক জরিপে তাদের সংখ্যা ১৬১৮। চীনের পরিবেশ সংরক্ষণমূলক কাজ, গবেষক ও প্রকৃতি কর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টায় বাড়ছে সোনালি বানরের সংখ্যা। প্রকৃতির কোলে ফিরে আসছে প্রকৃতির এই সোনালি সন্তান।

জাতির পিতার ৪৯তম শাহাদাত বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

জাতির পিতার ৪৯তম শাহাদাত বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

সেকান্দর আলী (স্টাফ করেসপন্ডেন্ট) স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষ্যে আজ সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল ১১.০০ঘটিকায় প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক কার্যালয় সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী। সভায় সভাপতি বলেন, দিবসটি কেন্দ্র করে জাতীয় পতাকা উত্তোলন সুন্দর ও সঠিকভাবে এবং নিয়ম মেনে করতে হবে। পতাকা ছেঁড়া বা দন্ড যেন বাঁকা না হয়। জাতীয় পতাকা অবমাননা মানে দেশকে অবমাননা করা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম শাহাদাত বার্ষিকী আমাদের যথাযথভাবে পালন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শন থেকে দেশপ্রেমের শিক্ষা নিতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। জেলা প্রশাসক বলেন, ১৫ আগস্ট সকল সরকারি ও আধা-সরকারি অফিস, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের প্রধান ও শাখা কার্যালয়, সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। সংশোধিত পতাকা বিধিমালা অনুসারে পতাকা অর্ধনমিত রাখার ক্ষেত্রে পতাকা প্রথমে পতাকাদণ্ডের সর্বোচ্চ চূড়া পর্যন্ত উত্তোলন করতে হবে। এরপর পতাকা দণ্ডের এক-চতুর্থাংশের দৈর্ঘ্যের সমান নিচে নামিয়ে পতাকাটি স্থাপন করতে হবে। পতাকা নামানোর সময় ফের পতাকা দণ্ডের সর্বোচ্চ চূড়া পর্যন্ত তুলে এরপর নামাতে হবে। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শনকে কেন্দ্র করে ০১ মিনিটব্যাপী ভিডিওচিত্র তৈরির প্রতিযোগিতা ‘আমার চোখে বঙ্গবন্ধু’ প্রোগ্রামে প্রত্যেকটি স্কুল ও কলেজ যেন অংশগ্রহণ করে ও যথাযথভাবে পালন করে। সকল পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ যাতে গৃহীত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে এবং যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করে এমনটি নির্দেশনা দেন সভাপতি। দিবসটি উপলক্ষ্যে সারা দেশের ন্যায় ময়মনসিংহেও বাদ জোহর মসজিদসমূহে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন থাকবে। আগামী ০১ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কালো ব্যাজ পরিধান করার নির্দেশনা রয়েছে। এ উপলক্ষ্যে ১৫ আগস্ট সকাল ৮.০০ঘটিকায় সার্কিট হাউজ সংলগ্ন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দিনভর বিভিন্ন স্কুল-কলেজে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সকাল ১০.০০ঘটিকায় এডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ময়মনসিংহের যুগ্ম-পরিচালক বলেন, অনলাইনে একটা গ্রুপ সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায়। তাই কোনোকিছু লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করার আগে এর সত্যতা যাচাই করতে হবে। সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পক্ষ থেকে সেদিন কমিউনিটি ক্লিনিকে ফ্রি ক্যাম্পিং করা হবে। পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি মোঃ শামীম হোসেন (পদোন্নতি প্রাপ্ত এসপি) বলেন, ফুল দেওয়ার সময় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। অপরিচিত কেউ যাতে দলে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় পতাকা কেউ অবমাননা করলে সাথে সাথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানোর অনুরোধ করেন তিনি। এছাড়াও তিনি কোনো প্রকারের ব্যাগ ও পার্স আনতে নিরুৎসাহিত করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আজিম উদ্দিন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড এর সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের প্রধানগণ এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরসমূহের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ময়মনসিংহে ১৫ দিনব্যাপী বিভাগীয় বৃক্ষমেলা-২০২৪ এর শুভ  উদ্বোধন

সেকান্দর আলী( স্টাফ করেসপন্ডেট) ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন ও ময়মনসিংহ বন বিভাগের আয়োজনে আজ রবিবার (১৪ জুলাই) ময়মনসিংহে ১৫ দিনব্যাপী বিভাগীয় বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়। `বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ` প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ময়মনসিংহের টাউন হল প্রাঙ্গণে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়। মেলা উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে এদিন বিকাল ৪:৩০টায় একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। ময়মনসিংহ-৪ সদর আসনের সংসদ সদস্য জনাব মোহাম্মদ মোহিত উর রহমানের নেতৃত্বে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে বের হয়ে টাউন হল প্রাঙ্গনে এসে র‌্যালি সমাপ্ত হয়। এ সময় মাননীয় সংসদ সদস্য বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এবং ফিতা কেটে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করেন। পরে টাউন হল প্রাঙ্গণ সংলগ্ন অডিটোরিয়ামে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ময়মনসিংহ-৪ সদর আসনের সংসদ সদস্য জনাব মোহাম্মদ মোহিত উর রহমান বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রচন্ড দাবদাহের কারণে এবার স্কুল বন্ধ রাখতে হয়েছিলো। জলবায়ুর ক্রমাগত পরিবর্তনের ফলে আজ এই অবস্থা। সবুজের, বৃক্ষের পরিমাণ কম বলে জলবায়ুর এ বৈরী রূপ দেখতে হচ্ছে আজ দেশকে। দেশের বনাঞ্চল উজার হয়ে যাচ্ছে। নাতিশীতোষ্ণ বাংলাদেশে এখন অতি গরম বা অতি শীতের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বর্তমান সরকার পরবর্তী প্রজন্মকে বৃক্ষরোপনে উৎসাহিত করতে সচেষ্ট। নতুন প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্যোগের মধ্য দিয়েই সুন্দর, সোনার, সবুজ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে। ২৫% বনায়নের লক্ষ্যমাত্রা যেন দেশবাসী সবাই মিলে সম্ভব করে তুলতে পারি। বাসযোগ্য সুন্দর দেশ গড়ে তুলতে সবাই যেন অগ্রণী হই। ময়মনসিংহের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার তাহমিনা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা, ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ.ন.ম আব্দুল ওয়াদুদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি মো. এহতেশামুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল। এছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, স্কুল শিক্ষার্থীগণ, রোভার স্কাউটের সদস্যবৃন্দ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

ফুলপুর নগরবাসীকে সার্বিক সুযোগ  সুবিধা ও মানসম্মত সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে এই বাজেট - শশধর সেন 

সেকান্দর আলী( স্টাফ করেসপন্ডেন্ট) ২০২৪ - ২৫ অর্থবছরের বার্ষিক বাজেট ঘোষণা করেছে ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর পৌরসভা। ১৪-০৭-২০২৪ তারিখে রবিবার পৌরসভার কার্যালয়ের হলরুমে আয়োজিত বাজেট অধিবেশন পরবর্তী আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে পৌরসভার কাউন্সিলর বৃন্দ, কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে এই বাজেট পেশ করেন। সাংবাদিক সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন পৌরসভার কিংবদন্তি মেয়র মিস্টার শশধর সেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মোঃ ছালেহ আহাম্মদ প্যানেল মেয়র ০২, সকল কাউন্সিলর বৃন্দ, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মোতালেব, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাহমুদুল ইসলাম, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ রায়হান কায়সার, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ গোলাম মোস্তফা সহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। মেয়র বলেন, ফুলপুর পৌরসভা সম্ভাব্য সব বাধা মোকাবেলা করে একটি আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে আগামী অর্থবছরের জন্য ৫৮কোটি ৭২ লক্ষ ৩০ হাজার ৬ শত ৭২ টাকার বাজেট ঘোষণা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। তিনি বলেন, রাজনৈতিক জীবনে যত অত্যাচার- নির্যাতন সহ্য করেছি নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়ে সব ভুলে গেছি । এই প্রতীকে আমাকে নির্বাচন করার সুযোগ দেওয়ায় আমি আধুনিক শহর বিনির্মাণের নিরলস উদ্যোক্তা ও টেকসই উন্নয়নের আগামী পথ প্রদর্শক জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট চির কৃতজ্ঞ। বাজেট বক্তৃতায় মেয়র বলেন, ০১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা প্রায় ঋণের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। ধাপে ধাপে পৌরসভার আয় দিয়ে এ পর্যন্ত ২৯ লাখ টাকার বেশি ঋণ পরিশোধ করেছি। পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়নের কাজ চলছে। ফুলপুর নগরবাসীকে সার্বিক সুযোগ-সুবিধা ও মানসম্মত সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে এই বাজেট করা হয়েছে। শহরটিকে পরিচিত রাখতে ইতিমধ্যে কয়েকটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বাজেট বাস্তবায়নের সকল সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে আমরা নাগরিকসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। মেয়র সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নোত্তরে বলেন, ফুলপুরে নাগরিক সেবার বিশেষ করে পরিবেশ সুরক্ষার লক্ষ্যে নগরের বিভিন্ন স্টেশনে ময়লা রাখার জন্য আমরা ব্যবস্থা করে দিয়েছি এবং আমরা বারবার বলছি আপনারা নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলুন এবং পরিবেশ সুন্দর রাখুন। পরিশেষে তিনি বলেন, ফুলপুর পৌরসভা কে অর্থনৈতিক অবকাঠামোসহ, জলাবদ্ধতা, বিনোদন কেন্দ্রিক পার্ক, রাস্তা ড্রেন, লাইটিং, এগুলি করতে গেলে আরো অধিক হারে বাজেট প্রয়োজন।

চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন গিনি-বিসাউয়ের প্রেসিডেন্ট

চীন এবং গিনি-বিসাউ বুধবার তাদের সম্পর্ককে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত করেছে। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং এবং গিনি-বিসাউ প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট উমারো সিসোকো এমবালো বেইজিংয়ে আলোচনার সময় এ ঘোষণা দেন। সি চিনপিং বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, চীন এবং গিনি-বিসাউ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে গভীর করেছে, রাজনৈতিক পারস্পরিক বিশ্বাসকে শক্তিশালী করেছে, বাস্তবসম্মত সহযোগিতা সম্প্রসারিত করেছে এবং আন্তর্জাতিক সমন্বয় উন্নত করেছে। তিনি বলেন, চীন গিনি-বিসাউকে স্বাধীনভাবে একটি উন্নয়ন পথ অন্বেষণে সমর্থন করে যা তার জাতীয় অবস্থার সাথে মানানসই। সি বলেন, চীন দুদেশের ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিতে, পারস্পরিক বিশ্বাসকে সুসংহত করতে, বাস্তবসম্মত সহযোগিতা প্রসারিত করতে, দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বের অর্থকে ক্রমাগত সমৃদ্ধ করতে এবং গিনি-বিসাউকে আরও উন্নত জাতীয় উন্নয়ন অর্জনে সহায়তা করতে দেশটির সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক। তিনি আরও বলেন, চীন গিনি-বিসাউ-এর অভ্যন্তরীণ নির্মাণের জন্য তার সামর্থ্যের মধ্যে সহায়তা প্রদান চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক, এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে গিনি-বিসাউকে সহায়তা করার জন্য তার ধান বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসা দল পাঠাতে থাকবে। এমবালো বলেন, গিনি-বিসাউ এবং চীনের বন্ধুত্ব অত্যন্ত দৃঢ় ও সৌহার্দ্যপূর্ণ, যখনই গিনি-বিসাউ সমস্যায় পড়েছে চীন অমূল্য সহায়তা প্রদান করেছে, এই আচরণ গিনি বিসাউর জনগণ কখনও ভুলবে না। তিনি আরও বলেন, গিনি-বিসাউ চীনের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াবে, এক-চীন নীতিকে সমর্থন করবে এবং তাইওয়ান প্রশ্নে তার মূল স্বার্থে চীনের অবস্থানকে সমর্থন করবে।

লাইভস্ট্রিমিং থেকে ক্ষতিকর কনটেন্ট সরাবে চীন

চীনে এখন লাইভস্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে বেড়েছে কেনাবেচা। বিশেষ গ্রামাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা এখন প্রতিনিয়ত ইন্টারনেটে সরাসরি ভিডিও প্রদর্শনের মাধ্যমে নিচ্ছেন পণ্যের অর্ডার। আর এই সব পণ্যের মান ঠিক আছে কিনা বা ক্রেতারা কোনোভাবে প্রতারিত হচ্ছেন কিনা তা তদারকিতে নজরদারি বাড়াতে চলেছে কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি চায়না ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টারের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। সেন্টারটি জানায় গতবছর চীনে ৮১ কোটি ৬০ লাখ বার লাইভস্ট্রিমিং করা হয়েছিল। এর মধ্যে কর্তৃপক্ষ অনেক কনটেন্টই অপসারণ করেছে। বিশেষ করে খাবার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ক্ষতিকর তথ্য ও ভুয়া পণ্য দেখানো হয়েছিল ওই ভিডিওগুলোতে। সেই সঙ্গে অপসারণ করা হয়েছে কম মানসম্পন্ন কনটেন্টও। ফুচিয়ান প্রদেশের ফুচৌ-এর জাতীয় গণকংগ্রেসের ডেপুটি ল্যান পিংয়ং লাইভস্ট্রিম শিল্পের দেখভাল করছেন। তিনি জানান, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে নকল এবং নিম্নমানের পণ্য বিক্রির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আরও ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। লাইভস্ট্রিমিং রুমে খাবার বিক্রি করা ব্যবসাগুলোর কঠোর তত্ত্বাবধানে থাকা উচিত বলেও জানান তিনি। এনপিসি ডেপুটি আরও বলেছেন, চনের বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ ব্যবসা ক্ষেত্রে উদীয়মান সমস্যাগুলোর ওপর আরও বেশি নজর দিচ্ছে এবং বাজারের সংস্থাগুলোর জন্য শক্তিশালী আইনি শিক্ষা প্রদান করার মাধ্যমে সুরক্ষার বিষয়ে গ্রাহকদের সচেতনতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করছে।

‘মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ কমিশন’ গঠনের দাবি নতুনধারার

মাদক বিরোধী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ‘মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ কমিশন’ গঠনের দাবি জানিয়েছেন নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির নেতৃবৃন্দ। ১৪ জুলাই সকাল ১০ টায় তোপখানা রোডস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন নতুনধারার চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী। সভায় নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির প্রেসিডিয়াম মেম্বার বোর্ডের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষকবন্ধু আবদুল মান্নান আজাদ, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. নূরজাহান নীরা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিপুন মিস্ত্রী, যুগ্ম মহাসচিব মনির জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজেদ রানা, শেখ লিজা, মোহাম্মদ টিটু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এসময় মোমিন মেহেদী বলেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে সকল ধরণের মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ করা উচিৎ। তা না করে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর’সহ সংশ্লিষ্ট বাহিনীর মাধ্যমে মাদককে সহজলভ্য করা হচ্ছে, ছাত্র-যুব-জনতার কাছে পৌছে দিচ্ছে লাইসেন্স-এর নামে মাদকদ্রব্য বিক্রি ও সেবনের টিকিট হিসেবে। আমরা চাই অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ সরকার ‘মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ কমিশন’ গঠনের মধ্য দিয়ে সব ধরণের মাদকদ্রব্য বিক্রি ও সেবন নিষিদ্ধ করতে পদক্ষেপ নিক। পাশাপাশি সকল বর্ডার এলাকাকে কঠোরভাবে চোরাচালান বন্ধে কার্যকর করা হোক। আজ যখন আমরা এই দাবি জানাচ্ছি তখন সকল রাজনৈতিক-সামাজিক ও প্রশাসনিকপর্ব ভয়ংকর নিরব ভূমিকা পালন করছে, যা সত্যিই লজ্জাজনক। তথাকথিত ইসলামি দলগুলোই মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধের দাবিতে কোন কর্মসূচি না দিয়ে পারতপক্ষে মাদকদ্রব্য বিক্রি ও সেবনে সমর্থন এবং সহায়তা করছে বলে আমি মনে করি।

Header Advertisement
Advertisement
Advertisement
Header Advertisement
সরকার গনমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

সরকার গনমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। দেশে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার ব্যাপক সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে তথ্যনির্ভর সমাজ গঠনের পথ এগিয়ে নিচ্ছে সরকার। দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ, লালন ও পরিচর্যায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে বার্তা প্রবাহের ১৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। স্বাধীন গণমাধ্যমের প্রসারের মাধ্যমেই গণতন্ত্র সুসংহত হয় এ কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চায় এবং দেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অগ্রযাত্রায় গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। গণমাধ্যম কর্মীরা নৈতিকতা ও দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করলে গণমাধ্যম কার্যকর হয়ে ওঠে। তিনি আরো বলেন, বস্তুুনিষ্ঠ সমালোচনা সরকারকে শক্তিশালী করে। তবে, অপপ্রচার বন্ধেও সতর্ক দৃষ্টি দেওয়া উচিত। মন্ত্রী বলেন, এদেশের গণমাধ্যম দেশ ও জাতির বিভিন্ন ক্রান্তিকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অতীতের ধারাবাহিকতায় সাহসী, নির্মোহ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা চর্চায় বার্তা প্রবাহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমার বিশ্বাস। বার্তা প্রবাহের সম্পাদক মোহাম্মদ মনির হোসেন কাজীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল অব মোঃ সালাহ উদ্দিন মিয়াজী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্ত,দ্যা সাউথ এশিয়ান টাইমস এর সম্পাদক দীপক কুমার আচার্য ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ বক্তৃতা করে।

ন্যাটোর ব্যাপক মহড়া স্নায়ুযুদ্ধে ফিরে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে : রাশিয়া

ন্যাটোর ব্যাপক মহড়া স্নায়ুযুদ্ধে ফিরে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে : রাশিয়া

রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকসান্ডার গ্রুশকো রোববার বলেছেন, ন্যাটোর স্টিডফাস্ট ডিফেন্ডার ২০২৪ মহড়া স্নায়ুযুদ্ধের পরিকল্পনায় চূড়ান্ত ও অপরিবর্তনীয় প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। ইতোপূর্বে ন্যাটোর ইউরোপ অ্যালাইড সুপ্রিম কমান্ডার জেনারেল ক্রিস্টোফার ক্যাভোলি, আগামী সপ্তাহের নির্ধারিত মহড়াটি কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও কয়েক মাস ধরে চলবে বলে ঘোষণা করেন। খবর সিনহুয়ার। গ্রুশকো বলেন, এই মহড়াগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিম যে হাইব্রিড যুদ্ধ চালিয়েছে তার আরেকটি উপাদান। তিনি বলেন, ৩১টি দেশের ৯০ হাজার সেনা সদস্য এই ধরনের মহড়া পরিচালনা করে ন্যাটো নিশ্চিত ও অপরিবর্তনীয়ভাবে শীতল যুদ্ধের পরিকল্পনায় প্রত্যাবর্তন করেছে। সামরিক পরিকল্পনার সম্পদ ও অবকাঠামো রাশিয়াকে মোকাবিলার জন্য তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে গ্রুশকো বলেন, এটি অনুশীলনের পেছনের এ ধারণাই সঠিক। তারা সমস্ত কর্মক্ষম ডোমেন ও যোগাযোগ অঞ্চলের সমস্ত ফ্রন্টে একটি তুলনীয় প্রতিপক্ষের সাথে সংঘর্ষের সম্ভাব্য পরিস্থিতি অনুশীলনের একাধিক কৌশল ও ড্রিলকে অন্তর্ভুক্ত করবে।

Header Advertisement
Header Advertisement