ঢাকা,   বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩

The South Asian Times | সাউথ এশিয়ান টাইমস
Header Advertisement
মামলা খারিজ, ড. ইউনূসকে দিতে হবে ১২ কোটি টাকা

মামলা খারিজ, ড. ইউনূসকে দিতে হবে ১২ কোটি টাকা

১৫ কোটি টাকা কর দাবি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের করা তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে ড. ইউনূসকে এনবিআরকে ১২ কোটি টাকা পরিশোধ করতেই হবে। এর আগে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সময় ১৫ কোটির মধ্যে তিনি ৩ কোটি টাকা জমা দিয়েছিলেন তিনি। বুধবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। ড. ইউনূসের করা তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলার শুনানি শেষ হয় গত ২৩ মে। শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়েছিল। মামলা থেকে জানা যায়, ১৯৯০ সালের দানকর আইন অনুযায়ী ২০১১-২০১২ করবর্ষে ড. ইউনূসের মোট ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ পাঠায় এনবিআর। একইভাবে ২০১২-২০১৩ করবর্ষে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা দানের বিপরীতে প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা দানকর দাবি করে আরেকটি নোটিশ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া ২০১৩-২০১৪ করবর্ষে ৭ কোটি ৬৫ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ টাকা কর দাবি করে নোটিশ দেওয়া হয়। দানের বিপরীতে কর দাবি করে এনবিআরের এইসব নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন ড. ইউনূস। তার দাবি, আইন অনুযায়ী দানের বিপরীতে এনবিআর এই কর দাবি করতে পারে না।

প্রার্থীকে জিতিয়ে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নয় : সিইসি

প্রার্থীকে জিতিয়ে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নয় : সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন কমিশনকে একটা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আর তা হলো ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। সেই অধিকারকে কোনভাবে বিঘ্নিত বা প্রতিহত করা যাবে না। কোনো বাধা-বিপত্তি যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব কোনো প্রার্থীকে জিতিয়ে দেওয়া বা হারিয়ে দেওয়া নয়। বুধবার (৩১ মে) দুপুরে খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ অডিটোরিয়ামে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় সিইসি বলেন, মানুষের মধ্যে আস্থা থাকতে হবে। নির্বাচনে কোনরকম অনাস্থা যেন মানুষের মধ্যে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে। ভোটাররা যেন সুষ্ঠুভাবে তাদের ভোট প্রয়োগ করতে পারে সেটা নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। হাবিবুল আউয়াল প্রিজাইডিং অফিসারদের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচনের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব প্রিজাইডিং অফিসারদের। কেন্দ্রের ভেতরে শৃঙ্খলা অতি প্রয়োজন। কেন্দ্রের ভেতরে শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের। দায়িত্ব হালকাভাবে নেবেন না। দায়িত্বপালনকালে কর্তৃত্ব প্রয়োগ করতে হলে করুন। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা চাইলে ভোটগ্রহণ বন্ধ করতে পারে। ভোট কেন্দ্রের ভেতরে শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) ও নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী।

পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের প্রভাবে স্থবিরতা নামবে বন্দরেও

পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের প্রভাবে স্থবিরতা নামবে বন্দরেও

কয়লা সংকটের কারণে জুনের ২ তারিখ অর্থাৎ আগামী শুক্রবারের পর বন্ধ হতে যাচ্ছে পায়রা কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির এমন খবরে উদ্বিগ্ন পায়রা সমুদ্র বন্দর কর্তৃপক্ষ। কারণ বর্তমানে পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রধান ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠান হলো পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। ফলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রভাবে স্থবিরতা নামবে বন্দরেও। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির এমন সমস্যা সাময়িক। পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্র বলছে, কয়লা না থাকায় ২৫ মে একটি ইউনিট বন্ধ করা হয়েছে। এখন ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বাকি একটি ইউনিট থেকে দিনে ৪৫০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত যে কয়লা রয়েছে তাতে ২ জুন পর্যন্ত চলতে পারবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। ফলে আগামী ৩ জুন থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

পৃথিবীতে ফিরে এলেন সৌদির নারী নভোচারী

টানা ৮ দিন মহাকাশে অবস্থানের পর পৃথিবীর বুকে ফিরে এসেছেন সৌদির নারী নভোচারী রায়ানা বারনাউই ও তার তিন সহচারী। গত ২০ মে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটে করে মহকাশের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান তারা। মহাকাশে অবস্থিত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ৮ দিন বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান এ নভোচারীরা। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার ফ্লোরিডাতেই ফেরেন তারা। তাদের বহনকারী স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুল ফ্লোরিডার মেক্সিকো উপসাগরের  উপকূলীয় শহর পানামা সিটিতে অবতরণ করে। মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরতে তাদের সময় লাগে দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা। আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘অ্যাক্সিয়োম স্পেসের পক্ষ থেকে এই মহাকাশযাত্রার আয়োজন করা হয়। তাদের সার্বিক সহযোগিতা করে সৌদির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়সহ প্রশাসনের আরও বেশ কয়েকটি বিভাগ। রায়ানার সঙ্গে একই রকেটে মহাকাশে গিয়েছিলেন সৌদির পুরুষ নভোচারী আলী আল-কুরনি, জন সেফনার ও নাসার সাবেক নভোচারী পেগি হুইটসন। এদিকে পৃথিবীতে অবতরণের পর রায়ানাসহ বাকি তিন নভোচারীকে হেলিকপ্টারে করে প্রথম গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হয়। মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ জানিয়েছেন, এ চারজনের পরবর্তী গন্তব্য হলো ক্যাপ ক্যানাভেরাল। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে সেখানে বিমানে করে যাবেন তারা।

আমরা যেকোনও সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ শান্তিতে বিশ্বাস করে এবং শান্তির জন্য যা যা করা দরকার তা-ই করবে। তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি, সংঘাতে নয়। বাংলাদেশ সর্বদা শান্তিতে বিশ্বাস করে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করা দরকার সবই করবে।’ শেখ হাসিনা আজ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র ভাষণে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যে কোনো সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই।’ প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা অস্ত্র প্রতিযোগিতা চাই না। কারণ নারী, শিশু ও প্রতিটি পরিবার এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ে। তাই তাদের এই দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করাই আমাদের লক্ষ্য।’ সরকার বলেন, বিশ্বে শান্তি নিশ্চিত করা অতীতের চেয়ে এখন বেশি কঠিন। কারণ, অশুভ শক্তি প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের জীবনের শান্তি কেড়ে নিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির সাম্প্রতিক বিকাশ ও অগ্রগতির সাথে সাথে অশুভ শক্তির নতুন হুমকি বাড়ছে।’ শেখ হাসিনা বলেন, প্রযুক্তি মানুষকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ সব ক্ষেত্রে সুযোগ দিচ্ছে। কিন্তু এর পাশাপাশি আমরা এটাও দেখছি যে- অপশক্তিগুলোও প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে এবং মানুষের জীবনের শান্তি কেড়ে নিচ্ছে। কাজেই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে শান্তিরক্ষীদের জটিল বহুমাত্রিক পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন যে, ‘আর এজন্য, উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে শান্তিরক্ষা মিশনকে সমৃদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।’ শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার বিশ্বের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ও বিপজ্জনক অঞ্চলে জটিল পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বদা বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের সর্বাধুনিক প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা মিশন এলাকার পরিবেশ, আবহাওয়া এবং ভূখ-ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ পোশাক, অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ নিশ্চিত করছি।’ এই প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা আরো বলেন, সরকার শান্তিরক্ষীদের যোগাযোগের জন্য বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টে আধুনিক মাইন-প্রতিরোধী, অতর্কিত হামলা-সুরক্ষিত যানবাহন ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করেছে। সরকার প্রধান আরো বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তি এবং প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত করা একটি চলমান প্রক্রিয়া- যা আমরা ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখব।’ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ও জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস। অনুষ্ঠানের শুরুতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আত্মদানকারী বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশ ইন গ্লোবাল পিস’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়। নিহত পাঁচজন শান্তিরক্ষীর পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন। তিনি পাঁচজন আহত শান্তিক্ষীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পরে, প্রধানমন্ত্রী ইন্টারন্যাশনাল পিসকিপার জার্নাল উন্মোচন করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসের থিম- ‘পিস বিগিনস উইথ মি’ খুবই সময়োপযোগী বলে তিনি মনে করেন । তিনি আরো বলেন, এই নীতিবাক্য নিয়ে আমরা আমাদের জাতির পিতার দেখানো পথে বিশ্ব শান্তির জন্য কাজ করব এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পৃথিবী দেয়ার চেষ্টা করব- এটাই আজ আমাদের অঙ্গীকার। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা যাতে আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিতে পারে সেজন্য তাঁর সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, আমি আশা করি বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীরা তাদের দক্ষতা, পেশাদারিত্ব, সাহসিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে দেশের সম্মান ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখবে। সরকার প্রধান বলেন, আপনারা (শান্তিরক্ষীরা) সংঘাত প্রতিরোধ, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা, মানবাধিকার নিশ্চিত করতে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। তিনি বলেন, “আপনাদের আন্তরিক কাজের কারণে ওই সব দেশের জনগণ আপনাদের নিঃশর্ত ভালোবাসা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বাংলাদেশী কন্টিজেন্টের সঙ্গে যুক্ত অনেক দেশের স্থানীয় নাগরিকরা আপনাদের কাছ থেকে বাংলা সংস্কৃতি ও ভাষা শিখেছেন। আপনারা অন্যান্য দেশের সহকর্মী শান্তিরক্ষীদের সম্মান ও ভালবাসা অর্জন করেছেন। কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যেও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আপনাদের পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠার প্রশংসা করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীরা বিশ্বশান্তি বজায় রাখতে এবং দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার ক্ষেত্রে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশের ৭ হাজার ৪৩৬ শান্তিরক্ষী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ও কার্যক্রমে নিয়োজিত আছে আর এই সংখ্যা বিশ্বব্যাপী মোতায়েন শান্তিরক্ষীদের মোট সংখ্যার প্রায় ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। এর মধ্যে ৫৭২ জন বাংলাদেশী নারী শান্তিরক্ষীও রয়েছে। শেখ হাসিনা আরো বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব আরও নারী শান্তিরক্ষী পাঠানোর অনুরোধ করায় আমরা নারী শান্তিরক্ষীদের সংখ্যা বাড়ানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের ৪০টি দেশে জাতিসংঘের ৬৩টি মিশন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীরা জাতিসংঘের ১৪টি মিশন ও কার্যক্রমে নিয়োজিত আছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২০টি, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দুটি, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর চারটি ও বাংলাদেশ পুলিশের তিনটি দল এসব মিশনে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ সুদানের আবেইতে একটি ফোর্স প্রোটেকশন ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করেছে- যেখানে মালিতে একটি কুইক রিঅ্যাকশন ফোর্স হিসেবে একটি মেকানাইজড ইনফ্যান্ট্রি কোম্পানি, কঙ্গোতে একটি বিস্ফোরক অস্ত্র নিষ্পত্তি প্লাটুন এবং মধ্যাঞ্চলে একটি লেভেল-২ হাসপাতাল কন্টিনজেন্ট যুক্ত করেছে। মালিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি নতুন আর্মড ইউটিলিটি হেলিকপ্টার ইউনিট, বেস ডিফেন্স কন্টিনজেন্ট হিসেবে একটি নতুন মেকানাইজড ইনফ্যান্ট্রি কোম্পানি এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এয়ারফিল্ড সাপোর্ট ইউনিট মোতায়েন রয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ফোর্স কমান্ডার, ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার এবং সেক্টর কমান্ডার হিসেবে বিভিন্ন মিশনে নিয়োজিত রয়েছেন। জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে তারা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, ‘শান্তিরক্ষা মিশন ছাড়া অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামেও আমরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করি ও অবদান রাখি।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব পেশ করে- ১৯৯৯ সালে যা সর্বসম্মতিভাবে গৃহীত হয়। তখন থেকে প্রতিবছর জাতিসংঘে বাংলাদেশের ফ্ল্যাগশিপ রেজুলেশন ‘শান্তির সংস্কৃতি’ সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। শেখ হাসিনা আরো বলেন, জাতিসংঘ ২০০০ সালকে ‘আন্তর্জাতিক শান্তির সংস্কৃতির বছর’ ও ২০০১-২০১০ কে ‘শান্তির সংস্কৃতি ও অ-সংঘাতের দশক’ ঘোষণা করে। তিনি বলেন, এগুলো বাংলাদেশের জাতির পিতার বৈদেশিক নীতিকেই অনুসরণ করে। তিনি বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ছিলেন দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ। যার ফলে বাংলাদেশ জাতিসংঘের ‘ব্লু হেলমেট’ পরিবারের সদস্য হয়ে উঠে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৮৮ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সাথে যোগ দেয়। পরে, ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ পুলিশ এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী ১৯৯৩ সালে শান্তিরক্ষী বাহিনীর সাথে যুক্ত হয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিগত ৩৫ বছর ধরে সুনামের সাথে শান্তিরক্ষা বাহিনীতে কাজ করে যাচ্ছে। সর্বোচ্চ সৈন্য ও পুলিশ সদস্য এই বাহিনীতে দেশের জন্য অবদান রেখে যাচ্ছে এবং এর পাশাপাশি জাতিসংঘের বিভিন্ন শান্তিরক্ষা অভিযানে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করছে। শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘আজ শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে আন্তজাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশ একটি নির্ভরযোগ্য নাম।’ অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ সুদান, মালি, লেবানন, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র ও ডিআর কঙ্গোসহ বিভিন্ন দেশে মোতায়েন বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের সাথে ভার্চুয়ালি কথা বলেন।

সবাই আসুক নির্বাচন করুক: রাশেদা সুলতানা

সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় আগামী সংসদ নির্বাচনও অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেন, ‘আহ্বান করি, সবাই আসুক নির্বাচন করুক।’ গাজীপুর সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ায় তৃপ্তির সুযোগ নেই। অনিয়ম হলে কঠোর পরিস্থিতি বুঝে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। সোমবার (২৯ মে) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। এ সময় তিনি চার সিটিতে না এলেও সংসদ নির্বাচনে সব দলকে ভোটে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘গাজীপুরের নির্বাচনে কতটুকু কী হয়েছে, জনগণ তার রায় দিয়ে দেবে। ইসি চায়, যতগুলো নির্বাচন হবে—যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়। মানুষ যেন আসে এবং ভোট দিয়ে চলে যেতে পারে এটাই প্রধান উদ্দেশ্য।’ সব ক্ষেত্রেই ইসি একই মনোভাব পোষণ করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সব সিটি কেন, জাতীয় নির্বাচনেও আমরা একই নীতিতে থাকবো। কঠোর এবং আরও কঠোর হবো কিনা—এটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। পরিস্থিতি ডিমান্ড করলে আমরা আরও কঠোর হবো। আমাদের একটাই ইচ্ছা—অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করবো।’ সবার অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোট সবসময় প্রত্যাশা করে কমিশন। এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা জানান, নির্বাচনে কে আসবে, না আসবে এটা তাদেরই ব্যাপার। যিনি প্রার্থী হবেন বা হতে চান না, এটা একদমই নিজস্ব ব্যাপার। নির্বাচন কমিশনের ওভাবে কাউকে আনার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ‘ভোটে এলে আমরা অবশ্যই ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন পাবো। না আসলেও নির্বাচন করতে হবে। এজন্য তো আমরা স্টপ হয়ে যেতে পারি না। এই কারণে আমাদের তৃপ্তি বা অতৃপ্তির সুযোগটা আসলে নেই। এখনও আহ্বান করি, যারা নির্বাচনে আসছেন না, তারা আসুক, নির্বাচন করুক।’ ইভিএমে ও সিসি ক্যামেরায় সিটি ভোট করার অভিজ্ঞতা থাকলেও জাতীয় নির্বাচনে থাকবে না ইভিএম। আর সিসি ক্যামেরাও রাখা হবে কিনা, তা নিশ্চিত নয় বলেও জানান এই ইসি কমিশনার। ব্যালটে ভালো ভোট করার বিষয়ে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। বলেন, ‘সনাতন পদ্ধতিতে যেটা আগে থেকে হয়ে আসছে, ব্যালট পেপারে ভোট করা, এগুলো যেন আমরা আরও সুন্দরভাবে করতে পারি, সেজন্য আমরা পন্থা অবলম্বন করবো। যতখানি মোটিভেশনাল কাজ করা দরকার, যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সেগুলো আমরা নেবো।’ গাজীপুরের ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট পরবর্তী গোলযোগ তদন্তের নির্দেশ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে ‘নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় টঙ্গীতে নারী-পুরুষ ঘরছাড়ার’ বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে গাজীপুর পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে ইসি। সোমবার ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনোত্তর ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে মারামারি, হামলা, আহত করা ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিবেদন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক গৃহীত ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার জন্য পুলিশ কমিশনার, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, গাজীপুরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

২০২৬ সালে নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা

২০২৫ সালের মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাক্রম পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে। আর ২০২৬ সালে নতুন শিক্ষাক্রমের ছাত্রছাত্রীরা প্রথম এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেবে। সোমবার (২৯ মে) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘স্মার্ট এডুকেশন ফেস্টিভ্যাল-২০২৩’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম এবং প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়। আর ২০২৪ সালে অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন শুরু হবে। ২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন করা হবে। এরপর ২০২৬ সালের প্রথম এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।  অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যায়ন এ বছর থেকে শুরু হচ্ছে। নানান দিক বুঝে উঠতে আমাদের সময় লাগবে। শিক্ষকদেরও অভ্যস্ত হয়ে উঠার জন্য কিছুটা সময় লাগবে। অভিভাবকদেরও সময় লাগবে। আমরা সৌভাগ্যবান শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা, তাদের সময় লাগছে সবচেয়ে কম। শিক্ষার্থীরা দ্রুত অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে, হয়ে যাবে। এই স্মার্ট শিক্ষা, তার বিভিন্ন অংশ নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাবো। যাতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারি সে জন্য স্মার্ট শিক্ষার নীতি নির্ধারণ কৌশল রপ্ত করবার জন্য আমাদের এই আয়োজন।’ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে স্মার্ট শিক্ষার কৌশল নির্ধারণের সূচনা উপলক্ষে ‘স্মার্ট এডুকেশন ফেস্টিভ্যাল` আয়োজন করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর। এই ফেস্টিভ্যালে ২০টি স্মার্ট শিক্ষা কার্যক্রম প্রদর্শন ও ১০টি সেমিনারে সব শ্রেণিপেশার মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে। একটি কেন্দ্রীয় ‘স্মার্ট শিক্ষা’ ফ্রেমওয়ার্ক রচনার লক্ষ্যে কিছু মতামত নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে উপস্থাপন করার জন্য এই ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী ভ্যাস্টিভ্যাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, অনেকগুলো সেমিনার করবো, সেখান থেকে অনেক উপায় বের হবে। স্মার্ট শিক্ষার কৌশল নির্ধারণ শুরু হলো।

Header Advertisement
Advertisement
Advertisement
Header Advertisement
ময়মনসিংহে ৪৪ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ ২০২৩ এর শুভ উদ্বোধন

ময়মনসিংহে ৪৪ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ ২০২৩ এর শুভ উদ্বোধন

 জেলা প্রশাসন, ময়মনসিংহের আয়োজনে ৪৪ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ-২০২৩-এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।৩১/০৫/২০২৩ তারিখে সকাল ১১.০০ ঘটিকায় বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে  এই জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ-২০২৩-এর উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  উক্ত আয়োজনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো: শফিকুর রেজা বিশ্বাস, বিভাগীয় কমিশনার, ময়মনসিংহ। উক্ত আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন জনাব মো: মোস্তাফিজার রহমান, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ময়মনসিংহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মাছুম আহাম্মদ ভূঞা, পিপিএম, পুলিশ সুপার, ময়মনসিংহ। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জনাব মো: মেহেদী হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি)। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন,  জনাব মোহসিনা খাতুন, জেলা শিক্ষা অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও জনাব নাসিমা আক্তার, প্রধান শিক্ষক, বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়।

কেন গ্রেপ্তার হলেন ইমরান খান?

কেন গ্রেপ্তার হলেন ইমরান খান?

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে একাধিক মামলায় জামিন চাইতে যাওয়ার সময় আদালত চত্বর থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি। দেশটির ইংরেজি দৈনিক ডন বলছে, ইমরান খান যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন তার নিজের ও স্ত্রীর মালিকানাধীন আল-কাদির ট্রাস্টকে অবৈধভাবে জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। প্রায় ৫৩০ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি মূল্যের ওই জমির অবস্থান দেশটির বাহরিয়া টাউন এলাকায়। পরে তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জমি বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়। জিও নিউজ বলছে, ইসলামাবাদ হাইকোর্টে বায়োমেট্রিক দিতে যাওয়ার সময় পিটিআই চেয়ারম্যানকে তুলে নিয়ে যায় রেঞ্জার্স। তার বিরুদ্ধে দেশটির জাতীয় তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (ন্যাব) জমি বরাদ্দের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। গত ১ মে ইমরান খানের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করেছিলেন ন্যাবের চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) নাজির আহমেদ বাট।  দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন বলছে, মহাপরিদর্শক (আইজি) আকবর নাসির খানের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে ইসলামাবাদ পুলিশ। এতে বলা হয়েছে, ইমরান খান ক্ষমতায় থাকাকালে আল-কাদির ট্রাস্টকে বাহরিয়া টাউনে ৫৩০ মিলিয়ন রুপি মূল্যের জমি অবৈধভাবে বরাদ্দ দিয়েছিলেন। এই ট্রাস্টের মালিকানায় আছেন পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি। ইসলামাবাদ পুলিশের মহাপরিদর্শক আকবর নাসির খান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। পুলিশের শীর্ষ এই কর্মকর্তা বলেছেন, ইমরান খানকে কাদির ট্রাস্ট মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সহিংসতা চালানোর চেষ্টা হলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

Header Advertisement
Header Advertisement