ঢাকা,   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪

The South Asian Times | সাউথ এশিয়ান টাইমস
Header Advertisement
ক্রাইম কনফারেন্স ফেব্রুয়ারি ২০২৪    বিশেষ  সম্মাননা পেলেন ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখা  

ক্রাইম কনফারেন্স ফেব্রুয়ারি ২০২৪    বিশেষ  সম্মাননা পেলেন ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখা  

পারফরমেন্স:১ গত ফেব্রুয়ারি/২৪ মাসে অভিযান পরচিালনা করে কোতোয়ালী থানার চাঞ্চল্যকর অটোচালক হাসেম হত্যার রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার সহিত জড়িত ০৭ জন আসামী গ্রেফতার ও অটো উদ্ধার করা করা।গ্রেফতারকৃত আসামীদের মধ্যে ০৪ জন আসামী স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করায়। পারফরমেন্স:২ গত ফেব্রুয়ারি/২৪ মাসে অভিযান পরচিালনা করে কোতোয়ালী থানার চাঞ্চল্যকর অটোচালক হাসেম হত্যার রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার সহিত জড়িত ০৭ জন আসামী গ্রেফতার ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করা করা।গ্রেফতারকৃত আসামীদের মধ্যে ০২ জন আসামী স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করায়। উক্ত বিষয়ে জেলা গোয়েন্দো শাখা(ডিবি), ময়মনসিংহ এর অফসিার-ইনর্চাজ মোঃ ফারুক হোসেন, এসআই(নিঃ) শেখ গোলাম মোস্তফা রুবেল, এসআই (নিঃ) শাহ মিনহাজ উদ্দিন, এসআই (নিঃ)  রেজাউল আমীন র্বষন, এসআই (নিঃ) পরিমল চন্দ্র সরকার, পিপিএম, এসআই(নিঃ) মৃত্যুঞ্জয় পন্ডিত মিঠুনকে মাসিক ক্রাইম কনফারেন্স ফেব্রুয়ারি/২০২৪ মাসে মাননীয় পুলিশ সুপার, ময়মনসিংহ মহোদয় কর্তৃক বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার প্রদান।

পাঁচ হাজার বছরের জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পাঁচ হাজার বছরের জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, `পাঁচ হাজার বছর আগে উন্মেষ ঘটা বাঙালি জাতি কখনো স্বাধীন ছিলো না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অবিস্মরণীয় নেতৃত্বে জাতি স্বাধীনতা অর্জন করেছে। সে জন্যই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাঙালি জাতিসত্তার উন্মেষ ও স্বাধীনতার ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে দেওয়া বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, `স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষায় তীতুমীর, সূর্যসেন, প্রীতিলতা, সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে বিদ্রোহ হয়েছে, মুক্তি আসেনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতাকে প্রায় ভুলতে বসা বাঙালিকে পলে পলে আন্দোলিত করে জাগিয়ে নিরস্ত্র জাতিকে মন্ত্র শেখালেন- বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীনা করো। তারপর হ্যামিলনের বংশীবাদকের মতো তাঁর ডাকে এক নদী রক্ত পেরিয়ে বাঙালি স্বাধীনতা পেয়েছে। সে জন্যই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা।` আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর বেইলী রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে সুগন্ধা ভবনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রথম অফিস পরিদর্শন, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও আলোচনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ইসরয়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় গাজায় নিহত হাজার হাজার শিশুর কথা স্মরণ করে হাছান মাহমুদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আমাদের জাতীয় শিশু দিবসটিকে ফিলিস্তিনের গাজায় নিহত হাজার শিশুর স্মৃতির প্রতি উৎসর্গ করতে চাই। গত অক্টোবর থেকে সেখানে ৩২ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই শিশু-কিশোর। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের শিক্ষায়তন `মনু মিয়ার স্কুলে`র শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এনডিআই-আইআরআই রিপোর্ট প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী : নির্বাচন প্রতিহতকারী বিএনপির নাশকতার মুখেও নির্বাচন সুষ্ঠু ও অহিংস হয়েছে ফরেন সার্ভিস একাডেমির অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী দুই মার্কিন সংস্থা এনডিআই-আইআরআই এ দিন দেওয়া রিপোর্ট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, `এনডিআই ও আইআরআই যে রিপোর্ট দিয়েছে সেখানে তারা স্বীকার করে নিয়েছে, অন্যান্য সময়ে যেসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সেসব নির্বাচনের তুলনায় এবার কম সহিংসতা হয়েছে। আর মানের কথা বলছেন, বাংলাদেশে যে সমস্ত নির্বাচন ইতোপূর্বে হয়েছে বা আমাদের উপমহাদেশে যে নির্বাচন হয় সেই তুলনায় এ নির্বাচনের মান অনেক উন্নত ছিল। একটি সুন্দর ও ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।` হাছান মাহমুদ বলেন, `এনডিআই ও আইআরআই তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছে। আমরা সেটা দেখছি। কিন্তু দেশে একটি সুন্দর, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে বিএনপিসহ তার মিত্ররা অংশগ্রহণ করেনি। বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা শুধু নির্বাচন বর্জন নয় নির্বাচন প্রতিহত করার ডাক দিয়েছে। সুতরাং তাদের রিপোর্টে যদি এ বিষয়টা বা যারা এ নিয়ে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন সময়ে দেশ-বিদেশে তাদের এ বিষয়টাও এড্রেস করতে হবে।` তিনি বলেন, `বিএনপি যে নির্বাচন প্রতিহত করার ডাক দিয়েছে এবং শুধু প্রতিহত নয়, নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য সহিংসতা করেছে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে সে বিষয়গুলোও তো আসতে হবে।` সরকার প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, `এটা প্রত্যাখ্যান বা গ্রহণ করার বিষয় নয়। তারা প্রতিবেদন দিয়েছে, আমরা প্রতিবেদনটা দেখছি এবং আমরা আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র বা অন্য কেউ যে সমস্ত পর্যবেক্ষণ দিচ্ছে সেগুলো আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি।` সোমালিয়ায় জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, `সরকারের সর্বোচ্চ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে, বাংলাদেশের টেলিভিশনে কি দেখাচ্ছে, কি হচ্ছে, সেটা যারা হাইজ্যাক করেছে তারা দেখে, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশের সব টেলিভিশন দেখার সুযোগ আছে। সে জন্য দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা জিম্মি নাবিক ও জাহাজ উদ্ধারে সহায়ক হবে।`

বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথই আমাদের পথ : ওবায়দুল কাদের

বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথই আমাদের পথ : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথই আমাদের পথ। বঙ্গবন্ধুর জন্ম মানেই হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্ম। তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা স্বাধীনতা দিয়ে যে উত্তরাধিকার রেখে গেছেন, তিনি বেঁচে না থাকলেও তার উত্তরাধিকারের কোনোদিন মৃত্যু হবে না। তার উত্তরাধিকার সারা জীবন বেঁচে থাকবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্ম হতো কি-না সন্দেহ যদি এই জনপদে বঙ্গবন্ধুর মতো নেতার জন্ম না হতো।’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আজ রোববার সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ওবায়দুল কাদের একথা বলেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধু চিরদিন আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি আছেন, থাকবেন। আমাদের সকল দুর্যোগে, সংকটে বঙ্গবন্ধু আমাদের চলার পথে পাথেয় হয়ে থাকবেন। তিনি বাঙালির দুঃখ কষ্টে একমাত্র বাতিঘর। যিনি আমাদের অবিরাম পথ দেখিয়ে যাচ্ছেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে বঙ্গবন্ধু নেই। তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা অবিরাম লড়াই করে যাবো। আজকের দিনে আমাদের অঙ্গীকার ‘উন্নত সমৃদ্ধ স্মাট বাংলাদেশ’ গঠনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভিযাত্রা অব্যাহত রাখব।

জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী উদযাপিত

বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। দিনটিকে দেশব্যাপী ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হয়। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত এই নেতা ১৯২০ সালের এদিন গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় এক সম্ভ্রন্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে রোববার ভোর ৬ টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু হয়। অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল, জাতির পিতার সমাধি ও প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কেক কাটা, মিলাদ মাহফিল, মোনাজাত, প্রার্থনা, আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, পুরস্কার বিতরণ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, দুস্থদের মাঝে ইফতার বিতরণ ইত্যাদি। দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৭ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময়ে বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল এ উপলক্ষে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এর পর শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও এ এইচ এম খাইরুজ্জমান লিটন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব-উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী উপস্থিত ছিলেন। এরপর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগ, মৎস্যজীবী লীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন। পরে সকাল ১০ টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড-অব-অনার প্রদান করে। পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় সিনিয়র নেতাদের সাথে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর মাজারে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং সংবাদপত্রগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র ও নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়। জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর সমাধি সৌধ প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং ‘জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন। এ সময়ে জাতির পিতার কনিষ্ঠ কন্যা এবং প্রধানমন্ত্রী ছোট বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রীমি) বিশেষ অতিথি এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক স্বাগত বক্তৃতা করেন। শিশু বক্তা তায়্যেবা তাসনীমও বক্তৃতা করেন। অপর শিশু পিয়াসা জামিল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। আব্দুর রহমান এবং লামিয়াতুল বারী শিশুদের এই অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও শিশু অধিকার শীর্ষক একটি প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন আয়োজিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে সারাদেশের সকল সরকারি হাসপাতাল রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে আলোচনা সভা, কোরআনখানি, বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সকল মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চ (৩/৭-এ সেনপাড়া, পবর্তা, মিরপুর-১০)-এ খ্রিস্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় সবুজবাগ ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার ও রাজধানীর মেরুল বাড্ডাস্থ আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং সকাল সাড়ে ১১ টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে বাংলামটরস্থ বিআইডব্লিউটিসির প্রধান কার্যালয় ‘বাংলাদেশ মেরিটাইম সেক্টরের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রধান অতিথি ছিলেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মোস্তফা কামাল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথমে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তারা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী পরে দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। মো. সাহাবুদ্দিন ও শেখ হাসিনা ফাতেহা পাঠ করেন এবং বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের অন্যান্য শহীদদের বিদেহী আত্মার চির শান্তি কামনা করে মোনাজাতে যোগ দেন। মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতি মাজার প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইতেও স্বাক্ষর করেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সমাধি প্রাঙ্গণে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে স্বাগত জানান। এর আগে সকাল ৭টায় প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। প্রধানমন্ত্রী পরে ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এখানে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে একটি স্মারক ডাকটিকিট, একটি প্রথম দিনের কভার এবং একটি ডেটা কার্ড প্রকাশ করেন। বহু বছর ধরে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন আজ জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে সারাদেশে পালিত হচ্ছে। ১৯২০ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার বর্তমানে জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

শিক্ষার্থীদের ওপর অতিরিক্ত চাপ না দিতে অভিভাবক ও শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিভাবক ও শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের ওপর অতিরিক্ত চাপ না দিয়ে খেলাধুলা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যাতে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘লেখাপড়া খুবই দরকার কিন্তু এই লেখাপড়ার নামে তাদের ওপর কোন চাপ সৃষ্টি করবেন না। আমরা এখন চাচ্ছি খেলাধুলা এবং নানা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়েই তারা তাদের লেখাপড়া শিখবে। যাতে তার ভেতরের সুপ্ত প্রতিভা ও মেধা বিকাশের সুযোগ হয়।’ প্রধানমন্ত্রী শিশুকাল থেকেই সততা ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার শিক্ষা, জাতীয় দিবসগুলো সম্পর্কে শিক্ষাদান এবং রাস্তায় চলার নিয়ম কানুন তথা ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সম্যক ধারনা ছোটবেলা থেকেই প্রদানের জন্যও অভিভাবক-শিক্ষকদের প্রতি আহবান জানান। শেখ হাসিনা আজ সকালে জাতির পিতার সমাধি সৌধ প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং ‘জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র ভাষণে একথা বলেন। জাতির পিতার কনিষ্ঠ কন্যা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সরকার প্রধান বলেন, আজকের শিশুদের কাছে এটাই আমার অনুরোধ গুরুজনদের মানতে হবে, শিক্ষককে মানতে হবে, বাবা-মা’র কথা শুনে চলতে হবে, বাবা মা’র সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। তাহলে কেউ বিপথে যাবে না। তিনি শিক্ষক-অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতির থেকে দূরে থাকার জন্য ছোটবেলা থেকেই সততার শিক্ষা দিতে হবে। সেই সাথে গান-বাজনা ও লেখাপড়া, ছবি আঁকা থেকে শুরু করে ধর্মীয় শিক্ষাসহ সব ধরনের কারিকুলামের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ত করতে হবে। সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ এবং মেধা ও মননের উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যেই তাঁর সরকার কারিকুলাম তৈরি করে শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, মর্মে অভিমত ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অভিভাবক ও শিক্ষক আপনাদের কাছেও আমার এই অনুরোধ থাকবে ছোটবেলা থেকেই তাদের ভেতরে যেন মানবিক গুণগুলো গড়ে উঠতে পারে সেদিকে যেমন দেখবেন তেমনি এই শিশুদের ভেতরে যে সুপ্ত প্রতিভা ও মেধা রয়েছে সেই সুপ্ত প্রতিভা ও মেধা ও মনন বিকাশের সুযোগ যেন তারা পেতে পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখবেন।’ শেখ হাসিনা বলেন, এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। এখন তো শিশুরা বিশ্বকে চোখের সামনে দেখতে পায়। কাজেই ক্লাসে শুধু বই পড়া নয়, চোখে দেখেও যেন তারা শিখতে পারে। আর আজকের শিশুরাই হবে আগামী দিনের ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক’। আর সেটাই আমাদের সরকারের কাম্য। তিনি বলেন, আমি চাই আমাদের দেশের প্রতিটি শিশু যাতে সুন্দর, নিরাপদ এবং উন্নত জীবন পায় সেটাই আমার সরকারের কাম্য। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রীমি) বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক স্বাগত বক্তৃতা করেন। শিশু বক্তা তায়্যেবা তাসনীমও স্বাগত বক্তৃতা করেন। অপর শিশু পিয়াসা জামিল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। আব্দুর রহমান এবং লামিয়াতুল বারী শিশুদের এই অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও শিশু অধিকার শীর্ষক একটি প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস -২০২৪ উপলক্ষ্যে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন আয়োজিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। এ উপলক্ষে গোপালগঞ্জ জেলার ১০৪ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে মোট ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়। প্রত্যেক শিক্ষার্থী পেয়েছেন ৫ হাজার টাকা করে। নির্বাচিত দুই শিক্ষার্থী-টুঙ্গিপাড়া উপজেলার মুশফিকা জান্নাতী ও কোটালীপাড়া উপজেলার আরাফাত শেখ প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করেন। আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী। সারাদেশে দিনটি জাতীয় শিশু কিশোর দিবস হিসেবে উদযাপিত হচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত এই নেতা ১৯২০ সালের এই দিনে তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে জাতির পিতার জবানিতে তাঁর বাবার (শেখ লুৎফর রহমান) প্রণিধানযোগ্য উপদেশ উদ্ধৃতি করে প্রধানমন্ত্রী ভাষণে সততায় ব্রতী হবার জন্য কোমলমতিদের প্রতি আহবান জানান। ‘সেখানে আমার দাদা কিন্তু একটা কথাই বলেছেন- যাই কিছু করো পড়াশোনা করতে হবে। লেখাপড়া শিখতে হবে। লেখাপড়া শিখে মানুষের মত মানুষ হতে হবে,এটাই তাঁর উপদেশ ছিল বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। অর্থাৎ ‘সিনসিয়েরিটি অব পারপাস এন্ড অনেস্টি অব পারপাস’ এই দু’টো যদি থাকে জীবনে কখনো ব্যর্থ হবে না। সবসময় সফলতা আসবে। তিনি বলেন, সততা এবং আন্তরিকতা থাকলে যে কোন কাজেই সফলতা অর্জন করা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে শিশুকাল থেকেই কোমলমতিরা রাস্তায় চলার উপযোগী হয়ে গড়ে উঠতে পারে এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলতে পারে সেই শিক্ষা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অভিভাবকসহ সকল মহলের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, এ সম্পর্কে ছোটবেলা থেকেই শিক্ষা দেওয়া একান্তভাবে প্রয়োজন। যাতে তারা কোন দুর্ঘটনার শিকার হতে না পারে। এজন্য আইন এবং রাস্তায় চলাচল সম্পর্কে সম্যক শিক্ষা প্রদান করা একান্তভাবে দরকার। পাশাপাশি শিশুদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার শিক্ষা দিতে হবে। অটিস্টিক বা প্রতিবন্ধী শিশুদের সঙ্গে কেউ যেন দুর্ব্যবহার না করে বরং সহানুভূতিশীল দৃষ্টি দিয়ে দেখে তাদের যেন আপন করে নেয় সেজন্য ও ছোটবেলা থেকে শিক্ষা দিতে হবে। যেকোনো অপচয় রোধ করা তাদের শিক্ষা দিতে হবে। তাহলেই তাদের মানুষের মতো মানুষ এবং মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল হিসেবে গড়ে তোলা যাবে। তিনি এ সময় জাতীয় দিবসগুলো সম্পর্কে শিক্ষা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট অভিভাবক শিক্ষক সহ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস, ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস, ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন তাহলে আমাদের শিশু কিশোর বা ছাত্ররা এই বিষয়গুলো জানবে না কেন ? প্রশ্ন করা হলে তারা এড়িয়ে যাবে কেন? কাজেই এই শিক্ষাগুলো তাদেরকে যথাযথভাবে দিতে হবে। বিজয় জাতি আমরা। আমরা কী করে ভুলে যাব যে যুদ্ধ করে আমরা এই দেশকে স্বাধীন করেছি। তিনি বলেন তাঁর সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছে এবং ২০৪১ সাল নাগাদ ‘উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে চায় যার নেতৃত্ব দেবে আজকের শিশুরা। সেভাবে আমরা তাদেরকে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার মত উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। একই সাথে ছেলেমেয়েদের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চা এই গুলোর দিকেও মনোনিবেশ করতে হবে। জাতির পিতার যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনকালে শিশুদের কল্যাণে গৃহীত পদক্ষেপের উল্লেখ করে তিনি তাঁর সরকারের শিশু ও নারীদের সুরক্ষা প্রদানে প্রণীত আইন ও বিধিমালা এবং উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন। ফিলিস্তীনের গাজায় শিশু ও নারীদের ইসরায়েলি বাহিনী হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করায় তথাকথিত মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দ্বিমুখী নীতিরও কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আজকে গাজায় শিশু ও নারীদের যে অবস্থা আমরা দেখি, আমি জানিনা তা বিশ্ব বিবেক কেন নাড়া দেয়না,সেটাই আমার প্রশ্ন।’ বাংলাদেশ সবসময় নির্যাতিতদের পাশে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি পাশ^বর্তী দেশ মিয়ানমারের সংঘাত চলাকালে বাস্তুচ্যুত নারী-শিশুসহ ১০ লাখের অধিক মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার প্রসঙ্গের উল্লেখ করেন।

Header Advertisement
Advertisement
Advertisement
Header Advertisement
ক্রাইম কনফারেন্স ফেব্রুয়ারি ২০২৪    বিশেষ  সম্মাননা পেলেন ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখা  

ক্রাইম কনফারেন্স ফেব্রুয়ারি ২০২৪    বিশেষ  সম্মাননা পেলেন ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখা  

পারফরমেন্স:১ গত ফেব্রুয়ারি/২৪ মাসে অভিযান পরচিালনা করে কোতোয়ালী থানার চাঞ্চল্যকর অটোচালক হাসেম হত্যার রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার সহিত জড়িত ০৭ জন আসামী গ্রেফতার ও অটো উদ্ধার করা করা।গ্রেফতারকৃত আসামীদের মধ্যে ০৪ জন আসামী স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করায়। পারফরমেন্স:২ গত ফেব্রুয়ারি/২৪ মাসে অভিযান পরচিালনা করে কোতোয়ালী থানার চাঞ্চল্যকর অটোচালক হাসেম হত্যার রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার সহিত জড়িত ০৭ জন আসামী গ্রেফতার ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করা করা।গ্রেফতারকৃত আসামীদের মধ্যে ০২ জন আসামী স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করায়। উক্ত বিষয়ে জেলা গোয়েন্দো শাখা(ডিবি), ময়মনসিংহ এর অফসিার-ইনর্চাজ মোঃ ফারুক হোসেন, এসআই(নিঃ) শেখ গোলাম মোস্তফা রুবেল, এসআই (নিঃ) শাহ মিনহাজ উদ্দিন, এসআই (নিঃ)  রেজাউল আমীন র্বষন, এসআই (নিঃ) পরিমল চন্দ্র সরকার, পিপিএম, এসআই(নিঃ) মৃত্যুঞ্জয় পন্ডিত মিঠুনকে মাসিক ক্রাইম কনফারেন্স ফেব্রুয়ারি/২০২৪ মাসে মাননীয় পুলিশ সুপার, ময়মনসিংহ মহোদয় কর্তৃক বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার প্রদান।

ন্যাটোর ব্যাপক মহড়া স্নায়ুযুদ্ধে ফিরে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে : রাশিয়া

ন্যাটোর ব্যাপক মহড়া স্নায়ুযুদ্ধে ফিরে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে : রাশিয়া

রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকসান্ডার গ্রুশকো রোববার বলেছেন, ন্যাটোর স্টিডফাস্ট ডিফেন্ডার ২০২৪ মহড়া স্নায়ুযুদ্ধের পরিকল্পনায় চূড়ান্ত ও অপরিবর্তনীয় প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। ইতোপূর্বে ন্যাটোর ইউরোপ অ্যালাইড সুপ্রিম কমান্ডার জেনারেল ক্রিস্টোফার ক্যাভোলি, আগামী সপ্তাহের নির্ধারিত মহড়াটি কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও কয়েক মাস ধরে চলবে বলে ঘোষণা করেন। খবর সিনহুয়ার। গ্রুশকো বলেন, এই মহড়াগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিম যে হাইব্রিড যুদ্ধ চালিয়েছে তার আরেকটি উপাদান। তিনি বলেন, ৩১টি দেশের ৯০ হাজার সেনা সদস্য এই ধরনের মহড়া পরিচালনা করে ন্যাটো নিশ্চিত ও অপরিবর্তনীয়ভাবে শীতল যুদ্ধের পরিকল্পনায় প্রত্যাবর্তন করেছে। সামরিক পরিকল্পনার সম্পদ ও অবকাঠামো রাশিয়াকে মোকাবিলার জন্য তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে গ্রুশকো বলেন, এটি অনুশীলনের পেছনের এ ধারণাই সঠিক। তারা সমস্ত কর্মক্ষম ডোমেন ও যোগাযোগ অঞ্চলের সমস্ত ফ্রন্টে একটি তুলনীয় প্রতিপক্ষের সাথে সংঘর্ষের সম্ভাব্য পরিস্থিতি অনুশীলনের একাধিক কৌশল ও ড্রিলকে অন্তর্ভুক্ত করবে।

Header Advertisement
Header Advertisement