
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা ছাড়বেন লাখ লাখ মানুষ। যার একটি বড় অংশ নৌপথে ঈদযাত্রা করবেন। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে বেছে নেবেন রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট নৌ টার্মিনালকে। দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার সড়কপথে যোগাযোগ তৈরি হওয়ায়, যাত্রীসংখ্যা নিয়ে শঙ্কায় লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা। তবু যাত্রীদের নিরাপদ ও স্বস্তির যাত্রা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত হচ্ছে লঞ্চগুলো।
লঞ্চ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যাত্রীসংখ্যা নিয়ে শঙ্কা থাকলেও প্রস্তুতিতে কার্পণ্য রাখছেন না তারা, সর্বোচ্চ যাত্রীসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্য তাদের। পুরান ঢাকার সদরঘাট ও কেরানীগঞ্জের ডক ইয়ার্ডগুলোতে চলছে লঞ্চ রঙ করা ও ছোট-খাটো ত্রুটি সংস্কারের কাজ।
দুর্ঘটনা মোকাবিলায় থাকছে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি। বিশেষ করে কালবৈশাখীকে সামনে রেখে বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত বয়া আর লাইফ জ্যাকেটসহ প্রস্তুত রাখা হয়েছে অন্যান্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম। আগুনের দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে হালনাগাদ করা হচ্ছে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র।
লঞ্চ মালিক সমিতির মহাসচিব শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা যাত্রী সংখ্যা নিয়ে শঙ্কায় আছি। তারপরও আশা করছি গত ঈদের থেকে কিছু যাত্রী বাড়বে, বিশেষ করে ঈদের কয়েক দিন আগে থেকে যাত্রীদের ভিড় বাড়বে। তবে প্রস্তুতিতে কোনও ত্রুটি নেই আমাদের। যাত্রীদের নিরাপদ ও স্বস্তির যাত্রা নিশ্চিত করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে লঞ্চ মালিকরা। দৃষ্টিনন্দন করতে অনেক লঞ্চ রঙ করা হচ্ছে, অনেক লঞ্চের রিপিয়ারিংয়ের কাজ চলছে। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, বয়া, জ্যাকেট সব প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।’
এবার ঈদযাত্রায় নতুন কোনও লঞ্চ যুক্ত হচ্ছে না বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ ও লঞ্চ মালিক সমিতি। বাড়বে না লঞ্চের ভাড়াও। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে আগাম কেবিন বুকিং।