বুধবার ০৮/০৫/২৪ তারিখে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকী। ‘সোনার বাংলার স্বপ্ন ও বাস্তবতা, রবীন্দ্রনাথ থেকে বঙ্গবন্ধু’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা হয়।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহেও নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
বুধবার (০৮ মে) জেলা প্রশাসন তত্ত্বাবধানে এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ময়মনসিংহ শিল্পকলা একাডেমিতে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহফুজুল আলম মাসুম। আলোচক হিসেবে রবি ঠাকুরের জীবনী নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও গবেষক স্বপন ধর ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী পরিষদের সদস্য সরোয়ার জাহান।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, রবীন্দ্রনাথকে এক আয়না দিয়ে ধারণ করা যাবে না। তাকে ধারণ করতে হলে হাজার হাজার আয়নার দরকার। তিনি ২০০ বছর আগে শিক্ষা ও রাজনীতি নিয়ে ভেবেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধেই শুধু নয় আমাদের প্রতিটি সংগ্রামে চিরকালই কবির রচনাগুলো প্রাণের সঞ্চার হয়ে থাকবে। এদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার অনেক কবিতা ও গান ছিল সীমাহীন প্রেরণার উৎস।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ব ইতিহাসে যদি পাঁচ জন কবির নাম বলা হয় তার মধ্যে রবীন্দ্রনাথ অন্যতম। তাইতো তাকে বিশ্বকবি বলা হয়। নতুন প্রজন্ম যদি রবীন্দ্রনাথকে ধারণ করতে পারে তাহলে আমরা সঠিক বাঙালি হয়ে উঠতে পারবো। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ যদি সঠিকভাবে আমরা ধারণ করতে পারি তাহলে বিশ্ব দরবারে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যাব বলে আমি বিশ্বাস করি।
দিনব্যাপী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আলোক প্রজ্জলন, চিত্রকর্ম প্রদর্শনী, সংগীত, নিত্য, আবৃত্তি, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা এবং নৃত্যনাট্য মায়ার খেলা প্রদর্শিত হয়।
রবি ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ময়মনসিংহের বিভিন্ন সংগঠন তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। সকালে জয়নুল আবেদিন পার্কের বৈশাখী মঞ্চে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষকমন্ডলী, অভিভাবকগণ, সাংবাদিকবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। আলোচনা শেষে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, কবির লেখা ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গান বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। কবির গান ও কবিতা এই অঞ্চলের মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তির ক্ষেত্রে প্রভূত সাহস যোগায়