নিরিহ ব্যবসায়ী আসাদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের ২টি হত্যাসহ ৫ মামলা দিয়ে বারিধারা জে ব্লকে ২৮টি গাড়ীর শোরুম ও ৪৫টি দোকান দখল করেছে
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আতাউর চেয়ারম্যান ও তার অনুসারীরা। প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেও দখলদারদের কারনে দুটি স্থাপনায় ধারে কাছে যেতে পারছেনা ব্যবসায়ী আসাদ।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২১ সালে ইঞ্জিনিয়ার আঃ রশিদের মালিকানাধীন সাউথ পয়েন্ট স্কুল ও কলেজের কাছ থেকে বারিধারা জে ব্লকের ১৮ নম্বর রোডের ৫৭ কাঠা খালি জায়গা ও ৫টি দোকান পাঁচ বছরের চুক্তিতে মাসিক ৮ লাখ ৯০ হাজার টাকায় ভাড়া নেন আসাদ। এরপর এই খালি জায়গায় প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যায়ে ২৮টি গাড়ীর শোরুম নির্মান করে ওয়ার্কশপ সিটি গড়ে তুলেন। এই স্থাপনায় বিদ্যুৎসহ ইউটিলিটি সংযোগও নেওয়া আছে আসাদের নামে। অন্যদিকে চুক্তির মেয়াদ ৩ বছর পূর্ন হলে ২০২৪ সালে জামির মালিক ভাড়া ২০ শতাংশ বাড়িয়ে ১০ লাখ ৭৩ হাজার নির্ধারণ করেন। এদিকে ২০২৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী একই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ২০ নং সড়কের ৯ কাঠা জায়গা মাসিক ৩ লাখ এক হাজার টাকা ভাড়া নিয়ে ৪০টি দোকান নির্মান করেন আসাদ। সব একরকম ঠিকঠাক চলছিল। এরই মধ্যে ঐতিহাসিক ৫ আগষ্ট ফ্যাসিবাদী সরকার পতন হলে আওয়ামী সুবিধাভোগী হিসেবে পরিচিত ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রশিদের এই স্থাপনা দখলে নেয় আতাউর চেয়ারম্যানের অনুসারীরা। ভাড়ায় জমির মালিক হওয়ার সুবাদে আসাদের কাছে আতাউর অনুসারীরা ভাড়ার টাকা তাদের কাছে দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। স্থাপনাই আসাদের সবচেয়ে বড় পুজি হওয়ায় আতাউরের চাহিদা অনুযায়ী ভাড়া দিতে অপরাগতার কথা জানায় এই ব্যবসায়ী। এরপরেই ওই
এলাকায় আসাদের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা দায়ের হয়। আর এসব মামলায় আসাদকে কারাগারে পাঠানো হবে হুমকি দিয়ে যায় আতাউর অনুসারীরা। ফলে কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত নিজের স্থাপনায় যেতে পারছেনা আসাদ।
পরিস্থিতির বিবেচনায় যেখানে জমির মুল মালিক প্রতিকুল পরিস্থিতিতে পড়ার কথা, তা না হয়ে নিরিহ ভাড়াটিয়ার বিপদে পড়ার কারন অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। কারন জমির মালিক দাবি করা ইঞ্জিনিয়ার রশিদই জমির মুল মালিক নন। আওয়ামী লীগেরে প্রভাব খাটিয়ে বিএনপির এক শীর্স নেতার এই জমি দখল করে ভাড়া খাচ্ছিলেন রশিদ। সঙ্গত কারনে পুরো চাপ পড়ে আসাদের ওপর।
এব্যাপারে জানতে চাইলে ইঞ্জিনিয়ার রশিদ বলেন, এই জমি তার নয়। এরপরেও এতদিন ভাড়া নেওয়ার কারন জানতে চাইলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ফোন কেটে দেন। অন্যদিকে নিজে ও তার অনুসারীদের গাড়ীর শোরম ও দোকান দখল করার অভিযোগ অস্বীকার করেন আতাউর চেয়ারম্যান।
আসাদ অভিযোগ করে বলেন, কখনো কোন ধরনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। এরপরেও আতাউর চেয়ারম্যানের লোকজনের ইন্ধনে ৫টি মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার স্থাপনা দখল করেছে। আমি এর সুবিচার চাই। চুক্তি অনুযায়ী নির্দিস্ট সময়ের জন্য আমার শোরুম ও দোকান দখলমুক্ত করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাই।
৫ মামলা দিয়ে ২৮ গাড়ীর শোরুম ও ৪৫ দোকান দখল
সাউথ এশিয়ান টাইমস অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০:১০, ৩১ মে ২০২৫
সর্বশেষ
সর্বাধিক জনপ্রিয়