যথাযোগ্য মর্যাদায় ও বিপুল আনন্দ আয়োজনে ম্যানিলাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ রবিবার পালিত হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে পৃথক দুটি আয়োজনে বাংলাদেশি ও ফিলিপিনো শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে দিবসটি পালন করা হয়।
সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা করেন রাষ্ট্রদূত এফ এম বোরহান উদ্দিন। ফিলিপাইনের শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও আদর্শের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ম্যানিলাস্থ ব্রিলিয়ান্ট জুনিয়র একাডেমি স্কুলের সাথে যৌথ উদ্যোগে দূতাবাস একটি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। স্কুলের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবকবৃন্দ ও স্কুলের শিক্ষকগণ উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন এবং উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন। খুদে ফিলিপিনো শিক্ষার্থীরা বাংলা ছড়া গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করে উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করে।
এরপর বিকেলে দূতাবাস প্রাঙ্গণে বাংলাদেশি শিশুদের অংশগ্রহণে একটি পৃথক চিত্রাঙ্কন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূত উপস্থিত শিশু-কিশোরদের নিয়ে জাতির পিতা প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এরপর দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রেরিত বাণী পাঠ করা হয় এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন নিয়ে তৈরি বিশেষ প্রামান্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অকৃত্রিম ভালবাসার কথা উল্লেখ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, শৈশব থেকেই বঙ্গবন্ধুর উদার হৃদয় এবং ছোট-বড় সবার জন্য দরদি মনের পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি তাঁর স্কুলের দরিদ্র ছাত্রদের বই, পরীক্ষা এবং অন্যান্য খরচের জন্য তহবিল সংগ্রহ করে সাহায্য করতেন। অসহায় মানুষের প্রতি এই ভালোবাসা ছিল তার সহজাত প্রবৃত্তি এবং জীবনের সবচেয়ে বড় গুণ। সেই সাথে শিশুদের প্রতি তাঁর ছিল প্রবল মমত্ববোধ। প্রতিটি শিশু হাসি-খুশির মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠুক এটা তিনি সবসময় চাইতেন। তিনি উপস্থিত শিশুদের জাতির পিতার আদর্শে জীবন গড়ার ও তাঁরই মতো মানবীয় গুণাবলিসম্পন্ন হিসেবে গড়ে উঠার আহ্বান জানান। বক্তব্য শেষে রাষ্ট্রদূত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের মধ্যে পুরস্কার ও সনদপত্র তুলে দেন এবং সমবেত সকলকে নিয়ে কেক কাটেন। এরপর দোয়া ও ইফতার মাহফিলের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।