
দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে অঢেল সম্পদ গড়ার অভিযোগে সাবেক মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান এবং তার এপিএস (ছোট ভাই) মো. সাহাবুদ্দিনসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আজ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। তিনি নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। নিজ নামে বরিশালের নাজিরপুর, পিরোজপুর এবং ঢাকার বিভিন্ন স্থানে স্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন নামের প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং প্রশিক্ষণের নামে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। দেশে-বিদেশে তার বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে বলে দুদকের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন।
শ ম রেজাউল করিমের নিজ নামে এবং তার পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
দুদক কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম আরও জানান, সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান, তার এপিএস মো. সাহাবুদ্দিন, সাহাবুদ্দিনের মেয়ে শামীমা সুলতানা হৃদয়, বোনের ছেলে ইয়াছির আরাফাত পৃথিবীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
তার নিজ নামে ঢাকার উত্তরায় ১০ নং সেক্টরে রাজউকের ৫ কাঠা জমি, খুলনার দৌলতপুরের সাহেববাড়ি রোডে ৩ তলা বাড়ি, ২টি গাড়ি, কেডিএ, মৌথুরী হাউজিংয়ে ১৬ দশমিক ৭ কাঠা জমি রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন নিয়োগ, পোস্টিং ও পদোন্নতির মাধ্যমে তার এপিএস মো. সাহাবুদ্দিন, সাহাবুদ্দিনের মেয়ে শামীমা সুলতানা হৃদয়, বোনের ছেলে ইয়াছির আরাফাত পৃথিবী কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।