বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজায় এবার নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা বলেছেন, গতবারের পূজায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতার কারণে এ বছর নিরাপত্তার নানা শর্তের বেড়াজালে থেকে তাদের উৎসবের আয়োজন করতে হচ্ছে। অথচ প্রায় বিশ বছর আগেও কোন নিরাপত্তা ছাড়াই পূজা করেছি। এখন নিরাপত্তা ছাড়া পূজা করা যায় না। এটা মনে কষ্ট দেয়। তবে নিরাপত্তা নেয়া ছাড়া উপায়ও নেই। এটাই বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই নানা শঙ্কা থেকে প্রতি বছরই আগের বছরের তুলনায় নিরাপত্তা বাড়াতে হচ্ছে, এনিয়ে আমাদের মাঝে ভিন্ন অনুভূতি হয়।
অবশ্য হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে যে কোনো ধরণের অপতৎপরতা ঠেকাতে অতন্ত্র প্রহরীর মতো পাহারায় মাঠে থাকবে বিএনপি। মূলত পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে দলটির দায়িত্বশীল নেতা-কর্মীরা। ইতিমধ্যে সারাদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে মতবিনিময় করে যাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। মতবিনিময় করা হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও।
আগামী ৯ অক্টোবর ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। ১৩ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে এ আয়োজনের। জগতের মঙ্গল কামনায় দেবীদুর্গা এবার দোলায় চড়ে মর্ত্যলোকে আসবেন। গজে চড়ে বিদায় নেবেন বলেও জানা গেছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে জানা যায়, দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার বিষয়ে ‘খুবই সিরিয়াস’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি পূজা সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রত্যেক নেতা-কর্মীদের সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দিয়েছেন।
একইসঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়কে পূজা উদযাপনে সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এছাড়া, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ বিভাগীয় শহর, জেলা সদর ও জেলাধীন প্রত্যেক উপজেলায় পূজামণ্ডপের জন্য বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সমন্বয়ে স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করে পাহারার ব্যবস্থা করবে।
বিষয়গুলো তদারকিতে সাংগঠনিক সম্পাদককে বিভাগীয় সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা উল্লেখ করা হয়েছে, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজায় কোনও প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার চক্রান্ত যাতে কেউ করতে না পারে, সে বিষয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সব ধর্মের মানুষের নির্বিঘ্নে ধর্ম পালনের অধিকারে বিশ্বাসী বিএনপির নেতা-কর্মীরা সার্বক্ষণিক সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
পূজাকে কেন্দ্র করে পতিত স্বৈরাচারের অনুচরেরা যাতে কোনও অপতৎপরতা চালাতে না পারে, স্ব স্ব এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষরা যাতে নির্বিঘ্নে উৎসব পালন করতে পারেন সে জন্য দলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে হবে। তবে নিরাপত্তার নামে কেউ যদি অপকর্মে যুক্ত থাকেন তাহলে প্রমাণ সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দলসহ বিভিন্ন সংগঠনের সমন্বয়ে স্বেচ্ছাসেবী টিম গঠন করা হয়েছে। সারা দেশে তারেক রহমানের নির্দেশনায় মিটিং অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবক টিম পূজামণ্ডপ পাহারা দেবে, যাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় এবং দুর্গাপূজা সুন্দরভাবে উদ্যাপন করা যায়।মূলত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি এই স্বেচ্ছাসেবী টিম মাঠে থাকবে।
জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী সাউথ এশিয়ান টাইমসকে বলেছেন, আসন্ন দুর্গাপূজা নির্বিঘ্ন এবং উৎসবমুখর করতে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ মতে প্রতিটি পূজা মন্ডপে স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ পূজারীদের সঙ্গে থাকবেন।
এদিকে বাংলাদেশে দুর্গাপূজা প্যান্ডেলগুলিতে হামলা অনাকাঙ্ক্ষিত। এই ঘটনাগুলি সামাজিক সম্প্রীতির উৎসবের জন্য সঠিক বার্তা পাঠায় না বলে জনিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। নয়াদিল্লিতে একটি মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেছেন তিনি।
তবে দুর্গাপূজায় দেশের প্রতিটি মণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ ‘সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে’ বলে জানিয়েছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার মো. মাইনুল হাসান। পূজা সামনে রেখে ডিএমপি সদর দপ্তরে নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ইতোমধ্যে পুলিশের পূজাকেন্দ্রিক নিরাপত্তা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পূজার মধ্যে পোশাকে ও সাধারণ পোশাকের পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সোয়াট, ক্রাইসিস রেসপন্স টিম, কুইক রেসপন্স টিম, ক্রাইম সিন ভ্যান ও বম ডিসপোজাল ইউনিট সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে। পূজার আগের আনুষ্ঠানিকতায়, পূজার সময় এবং প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মণ্ডপে সার্বক্ষণিক ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসি) চালু রাখতে পূজা উদযাপন পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ অথবা কাছের থানায় যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন মাইনুল হাসান।
কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অ.দা.) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলার সব পূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এছাড়া নেত্রকোনার মোহনগজ্ঞ উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের লক্ষ্যে বিএনপির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য কল্যাণ ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মোহনগজ্ঞ পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিহির গোস্বমীর সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, বিএনপি নেতৃবৃন্দসহ সকল শ্রেনি-পেশার লোকজনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।
নেত্রকোনা জেলাধীন কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমএ খায়ের জানান, নেত্রকোনা জেলাধীন কলমাকান্দা উপজেলায় আসন্ন দুর্গোৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপনের লক্ষ্যে প্রতিটি মণ্ডপে নিরাপত্তা সহায়তার ব্যবস্থা করেছে উপজেলা বিএনপি। ইতোমধ্যে উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ছয় শতাধিক নেতা-কর্মীর নামসংবলিত একটি তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সার্বিক সহযোগিতা করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
এমএ খায়ের বলেন, আগামীকাল শনিবার থেকে প্রতি মণ্ডপে ১২ নেতাকর্মী নিরাপত্তা সহায়তায় থাকবেন। এ বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর কলমাকান্দা উপজেলায় ৪৯টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। আর পূজা ঘিরে কারিগররা শৈল্পিক ভাবনায় প্রতিমা তৈরি করেছেন। সবকটি মণ্ডপে নির্মাণ করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন গেট ও প্যান্ডেল। বেশ কিছু পূজামণ্ডপে প্রতিমা রঙ করার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আর শৃঙ্খলা রক্ষায় মণ্ডপে মণ্ডপে গঠন করা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক কমিটি।
এ বিষয়ে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ বলেছেন, বিএনপি সবসময় হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে ছিল। এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আমরা হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। আমরা সবাই বাংলাদেশি। এ কথাটি শুধু মুখে বললেই হবে না, কার্যক্রমের মাধ্যমে সেটি প্রকাশ করতে হবে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিরাপত্তা দিতে মাঠে থাকবে বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সারাদেশে আগে থেকেই মানুষের নিরাপত্তায় কাজ করছে দলটির স্বেচ্ছাসেবকরা। পূজাতে আরও বেশি সতর্কতার সঙ্গে এই দায়িত্ব পালন করবেন তারা।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান হিন্দু সম্প্রদায় ও দুর্গাপূজা ঘিরে খুবই সিরিয়াস। তাই আমরা ঢাকা বিভাগ থেকে শুরু করে সারাদেশে সাংগঠনিক টিমগুলো কাজ করে যাচ্ছি। যেকোনো ত্যাগ শিকার করে হলেও হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে থেকে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা বিধানের জন্য সচেষ্ট থাকব।
এদিকে আসন্ন দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মাঠ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য একগুচ্ছ নির্দেশনা জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক-২ শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. জহিরুল হকের সই করা এক অফিস স্মারকের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার ৩ অক্টোবর এ নির্দেশনাগুলো জারি করা হয়।
নির্দেশনাগুলো হলো: (ক) শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র্যাব এবং আনসার ও ভিডিপি কর্তৃক দৃশ্যমান টহল জোরদার এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে নিয়োজিত সশস্তরের বাহিনীর সদস্যরা প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে; (খ) যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। অপ্রত্যাশিতভাবে কোনো ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে; (গ) শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে পূজামণ্ডপগুলো পরিদর্শন করতে হবে; (ঘ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এরূপ কোনো বক্তব্য বা গুজব ছড়ানোর বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে; (ঙ) সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটিগুলোকে পূজামণ্ডপে সার্বক্ষণিক পাহারার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও পাহারাদার (পালাক্রমে দিনে কমপক্ষে তিনজন এবং রাতে চারজন) নিয়োজিত করতে হবে; (চ) প্রতিটি পূজামণ্ডপে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; (ছ) শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ বাহিনীর সদস্য, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, র্যাব এবং অন্যান্য বাহিনীর সদস্য মোতায়েন নিশ্চিত করতে হবে; (জ) শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু ধর্মালম্বীদের পাশাপাশি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা বিধানে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ছাত্র-জনতাকে অন্তর্ভুক্ত করে মনিটরিং কমিটি গঠন করতে হবে। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা এরূপ কমিটি গঠন করবেন।
জানতে চাইলে বিএনপির প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়ক বিষয়ক সহ-সম্পাদক অর্পনা রাণী দাস সাউথ এশিয়ান টাইমসকে বলেন, গত ৫ আগস্ট অসুর শক্তির বিনাশ করে মা দূর্গা এবার পূজিত হচ্ছেন। এরই মধ্যে আমরা বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করেছি। সুষ্ঠুভাবে পূজা অনুষ্ঠিত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যথেষ্ট সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী এবার সুষ্ঠুভাবে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। দুই একটি জায়গায় প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে। তারা আসলে ধার্মীক নয়। তাদের দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।